স্বাস্থ্য সচেতনতায় আমের পুষ্টিগুণ

ষড়ঋতুর দেশ, আমাদের এই বাংলাদেশ। তাই তো বছরের একেক সময়, একেক রুপে সজ্জিত থাকে আমাদের প্রকৃতি। শুধু কী তাই? এ দেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায়, বছরের সবসময়ই নানা স্বাদের সুস্বাদু ও পুষ্টিতে ভরা ফলমূল থাকেই। স্বাস্থ্য সচেতনতায় আম এর পুষ্টিগুন অনেক।

আম, এই ফলটির পুষ্টিগুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। মৌসুমি এ ফলটিকে আমরা ফলের রাজা নামে চিনি! শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা পৃথিবীতে এর সুনাম ও জনপ্রিয়তা রয়েছে।

নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন কীসের কথা বলছি?

জ্বী! ঠিকই ধরেছেন। আজ বলব রসালো স্বাদের সবার প্রিয় আমের কথা। পৃথিবীতে নানান প্রজাতির আম রয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশেই বেশ কয়েক প্রজাতির আম পাওয়া যায়।

চলছে আমের মৌসুম। কাঁচা-পাকা আমের মিঠা গন্ধ সমগ্র বাগান জুড়ে। ফলের রাজা হিসেবে পরিচিত আম প্রায় সব বয়সী মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। সহজলভ্য হওয়ায় ও প্রচুর খাদ্যগুন থাকায় আম পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

টক স্বাদের কাঁচা আম! সাথে একটু লবন, মরিচ দিয়ে মাখা! ভাবলেই জিভে পানি চলে আসে। একটা সময় অনেকেই টক ফলকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ভাবত! তবে সে সময় এখন আর নেই। জনপ্রিয় ফল আম শুধু যে খেতেই সুস্বাদু,তা নয়! এর রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতাও। স্বাস্থ্য সচেতনতায় আম এর জুড়ি মিলা ভার।

ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি দিয়ে ঠাসা আম, শরীরের ভেতরে কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করতে সহায়ক। কোলাজেন রক্ত শোধন ও টিস্যু গঠনে কাজ করে। যথেষ্ট পরিমাণে আঁশসমৃদ্ধ আমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পানি। যা হজমে সহায়তাকারী।

আমের খোসা ও রসে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকর উপাদান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি নানা ধরনের জটিল রোগব্যাধি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ভিটামিন-এ দিয়ে ভরপুর পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে বেটা-ক্যারোটিন, আলফা-ক্যারোটিন ও বেটা-ক্রিপটোক্সানথিন। তাই নিয়মিত পাকা আম খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

জানেন তো,

পটাশিয়ামের ভালো উৎস হিসেবে আমের বেশ খ্যাতি রয়েছে! হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক রেখে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে আম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমের ভূমিকা অগ্রগণ্য। ভিটামিন সি ,এ, বি, রিভোফ্লোবিন, নায়াসিন, থায়ামিন থাকার কারণে আম অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গবেষণা করে জানিয়েছেন, আমে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আম খেলে স্তন ক্যান্সার, ত্বক ও কোলন ক্যান্সার থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

আমে থাকা ক্যারোটিন, এস্ট্রাগ্যালিন, ফিসেটিন, গ্যালিক অ্যাসিড ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমে রয়েছে উচ্চ পেকটিন আঁশ। পেকটিন মূত্রথলির ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আমে ফ্যাটের পরিমাণ খুব অল্প। তাই ওজন নিয়ে চিন্তা না করে, নিশ্চিন্তে আম খান। তবে আম কখনো দুপুর কিংবা রাতের খাবারের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। বরং সকালের মধ্যভাগে কিংবা সন্ধ্যায় নাস্তা হিসেবে খাওয়া ভাল।

যেকোনো ফল ততক্ষণই পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ থাকে, যতক্ষণ তা বিশুদ্ধ ও রাসায়নিক উপাদানের প্রয়োগ মুক্ত থাকে। ভেজালে রাজ্যে টাটকা, কেমিক্যাল মুক্ত আম পেতে খাস ফুডে অর্ডার করতে পারেন।

দেশের সুস্বাদু ও টাটকা সব আম, নিরাপদ ডেলিভারি সার্ভিস নিশ্চিত করে সরবরাহ করার ব্যাপারে বেশ সুনাম রয়েছে খাস ফুডের।

গ্রীষ্মকালের সহজলভ্য ও সুস্বাদু ফল আম প্রাকৃতিক গুনে টুইটুম্বুর। আম আমাদের শরীর, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
Scroll to Top